বহু পরিযায়ী শ্রমিক সব্জীর পাইকারী ব‍্যবসায়ী : দাম বাড়ছে কাঁচা সব্জীর প্রতিযোগিতায়

8th September 2020 12:43 pm বর্ধমান
বহু পরিযায়ী শ্রমিক সব্জীর পাইকারী ব‍্যবসায়ী : দাম বাড়ছে কাঁচা সব্জীর প্রতিযোগিতায়


পার্থ ব‍্যানার্জী ( জামালপুর ) :   বর্তমান করোনা মহামারীর সময়কালে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এসেছেন নিজের বাড়িতে । বিকল্প কর্মসংস্থানের সে রকম কোন সুযোগ না থাকায় গ্ৰামীণ এলাকায় সব্জী ব‍্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছেন বহুজন । পাইকারী সব্জী বেচাকেনাতেও মাথা গলিয়েছেন বহু যুবক । বর্তমান অবস্থায় চাষীদের থেকে পাইকারী ব‍্যবসায়ীর সংখ‍্যা বহু বেড়ে গেছে । আর তার জেরেই কাঁচা আনাজের দাম বাড়ছে হু হু করে । এমনটাই অভিমত বাজারের খুচরো ব‍্যবসায়ীদের । জামালপুর এর মঙ্গলবারের হাটে কাঁচা সব্জীর অগ্নিমূল‍্য । পটল , ঝিঙে , করলা থেকে শুরু করে কাঁচা লঙ্কা , শসা , কুমড়ো সবের দাম যথেষ্ট বেশী । বাজারে এসে রীতিমতো চোখের জলে নাকের জলে হচ্ছেন ক্রেতারা । খুচরো ব‍্যবসায়ীদের পেটেও হাত পড়েছে । পরিযায়ী শ্রমিকরা যে ভাবে কাঁচা আনাজের দরদাম করছেন পাইকারী বাজারে তাতেই দাম চড়ে যাচ্ছে । দু এক টাকা লাভ রেখে খুচরো ব‍্যবসায়ীরা বিক্রি করলেও দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই । জামালপুরে ধান , আলু র পাশাপাশি প্রতিটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই প্রচুর পরিমানে কাঁচা সব্জীর চাষ হয় । দামোদর নদ তীরবর্তী এলাকাগুলোতেও রকমারী ফসল ফলে । বিভিন্ন জায়গায় তৈরী হয়েছে পাইকারী বাজার । সেই সব পাইকারী বাজারে নিলামের মাধ‍্যমে চাষীদের কাছ থেকে দর ওঠে এবং তা অন‍্য বাজারে সরবরাহ করা হয় । গ্ৰামীন এই সব এলাকা থেকেই কলকাতা সহ অনান‍্য জায়গাতেও কাঁচা আনাজ সরবরাহ হত । এতাবৎকাল পর্যন্ত সেইভাবেই চলছিল । কিন্তু বর্তমানে এলাকায় এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে আসার পরে পাইকারী সংখ‍্যা বেড়ে গেছে । প্রতিযোগিতার বাজারে দাম বাড়ছে কাঁচা আনাজের । আলু র দাম কেজি প্রতি এদিন বাজারে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা । সরকারী ঘোষনা থাকলেও আদৌ ২৫ টাকা কেজি প্রতি দরে আলু বিক্রির কোনো পদক্ষেপ ই নেই এলাকায় বলে অভিযোগ । একদিকে লকডাউন ও করোনার জেরে অর্থনৈতিক অবস্থা সংকট জনক । তার উপর যেভাবে সব্জী র দাম বাড়ছে তাতে মাথায় হাত সকলের । প্রশাসনিক নজরদারি তে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসে কি না তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে ।সামগ্ৰীক বিষয় সম্পর্কে জামালপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন , যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা এসেছেন ব্লকে তাদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে । তাদের মধ‍্যে কারা কোন বিষয়ে পারদর্শী তা খোঁজ নিয়ে উৎকর্ষ বাংলার মাধ‍্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান তৈরীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে । তবে এখনো অবধি কাউকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নি । তালিকা তৈরীর কাজ চলছে । তারপর তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে । জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহমুদ খান জানিয়েছেন , পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন এখানে ফিরে আসেন প্রথমেই মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর উদ‍্যোগে তাদের রেশন কার্ডের  ব‍্যবস্থা করা হয়েছে । খাদ‍্য সামগ্ৰী যাতে সকলে পায় তার দিকে নজর দেওয়া হয় । তারপর ১০০ দিনের কাজেও যুক্ত করা হয়েছে । আগামীদিনেও সমস্ত রকমের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন‍্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।